মোস্তাকিমুল নাফিস।।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজারের এক ফিড ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রভিটা ফিডের নামে নকল মোড়কে ভেজাল (নকল) ফিড বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভেজাল ফিড খাওয়ানোর ফলে কয়েক লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে ফরিদা আক্তারের পরিচালিত আহমেদ এগ্রোকে।
জানা যায়, কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের লোলাই গ্রামের আহমেদ এগ্রো’র পরিচালক তরুণ উদ্যোক্তা ফরিদা আক্তার ২০২০ সালের করোনা পরিস্থিতির পূর্ব থেকে বাগমারা বাজারের ফিড ব্যবসায়ী মেসার্স ভাই ভাই স্টোর’র স্বত্বাধিকারী মোঃ ফারুক হোসেনের কাছ থেকে খামারের জন্য ফিড ক্রয় শুরু করেন।
গত দুই বছর যাবত প্রতি মাসে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ফিড ক্রয় করেন। এর বেশির ভাগ সময় খামারে প্রভিটা ফিড খাওয়ান। কিছুদিন পর গাভীর দুধের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বিষয়টি উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জানতে পারেন ফারুকের নিন্ম মানের ফিড খাওয়ানোর ফলে এমনটা হয়েছে।
এ বিষয়ে মেসার্স ভাই ভাই স্টোর’র স্বত্বাধিকারী ফারুক হোসেনকে একাধিক বার জানানোর পরও সে মাঝে মাঝে বন্ধ রেখে আবারো একই ফিড সরবরাহ করেন। এতে আহমেদ এগ্রো’র বাছুর মারা যাওয়া, দুধের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং প্রভিটা ফিডের মূল্যে নিন্ম মানের ফিড দেয়ায় গত দুই বছরে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে আহমেদ এগ্রোকে।
ওই ব্যবসায়ী থেকে ফিড কিনতে অনিহা প্রকাশ করলে খামার মালিককে ফিড ব্যবসায়ী কর্তৃক বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধমকিরও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ আদায়ের পাশাপাশি সঠিক সমাধান ও বিচার চান আহমেদ এগ্রো’র পরিচালক তরুণ উদ্যোক্তা ফরিদা আক্তার।
এ বিষয়ে বাগমারা বাজারের মেসার্স ভাই ভাই স্টোর’র স্বত্বাধিকারী ফারুক হোসেন বলেন, এ ফিড লালমাই উপজেলার প্রভিটা ফিড ডিলার আশকামতার জহির ভাই থেকে ক্রয়কৃত। আমার পক্ষ থেকে খামারীকে কোন প্রকার হুমকি ধমকি দেয়া হয়নি বরং ফিডের পাওনা টাকা চাওয়ায় ওনার সাথে বাকবিতন্ডা হয়েছে। ফিডের অবৈধ কোন প্রকার মোড়কজাত আমি করিনা।
এ বিষয়ে লালমাই উপজেলা ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মোতালেব জানান, করোনা পরিস্থিতিতে খামারীরা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত। এরমধ্যে ফিডের নামে এতো বড় জালিয়াতি কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বাগমারা বাজারের ডেইরি ফিড ব্যবসায়ী মেসার্স ভাই ভাই স্টোর’র স্বত্বাধিকারী ফারুকের সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে লালমাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আরিফ হাসনাত বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষেদোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।